“চেষ্টার অতিরিক্ত কিছুই মানুষকে দেওয়া হয় না” – (আল-কুরআন: ৫৩:৩৯)
যদি এমন হতো! আপনার একটি টাকার গাছ আছে, প্রয়োজন হলেই আপনি সে গাছটিকে নাড়া দিয়ে টাকা পেরে প্রয়োজন মিটাচ্ছেন। তবে কতই না ভালো হতো! তাই না? আপনাদের মনে কি কখনো এমন ভাবনা এসেছে? আপনি কি চান, আপনার এমন একটি টাকার গাছ থাকুক? যদি সত্যিই চান, তবে আমাদের দেখানো পদ্ধতিতে প্রতিদিন অন্তত ২ ঘন্টা করে ২ মাসে কমপক্ষে ১২০ ঘন্টা সময় ব্যয় করুন। টাকার গাছটি কিভাবে লাগাবেন, তা জানতে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন অথবা ভিডিওটি দেখুন।
জীবনে কম-বেশী সকলেরই ইনকাম প্রয়োজন। ইনকাম নামক বস্তুটি অর্জনের জন্য কতজন কত ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ অনেক পরিশ্রম করার পর সফলতা পেয়েছেন, আবার অনেকেই পরিশ্রম করেই চলেছেন। যদি এর পাশাপাশি প্রতিদিন মাত্র ২ ঘন্টা সময় ব্যয় করে ইনকামের অন্য একটি পথ তৈরী করা যায়, তাহলে কেমন হয়? আমি আপনাদের সাথে এমনই একটি ইনকামের পথ শেয়ার করছি।
১। একটিভ ইনকাম
২। প্যাসিভ ইনকাম
একটিভ ইনকাম বলতে যা বুঝায় তা হলো- যতক্ষণ কাজ ততক্ষণ ইনকাম। অর্থাৎ আপনি যতক্ষণ দোকান খোলা রাখবেন ততক্ষণ বেচাকেনা হবে, দোকান বন্ধ করলে বেচাকেনাও বন্ধ হয়ে যাবে। যতদিন চাকুরী করবেন ততদিন বেতন পাবেন, চাকুরী ছেড়ে দিলে বা চলে গেলে বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। এ ধরণের একটিভ ইনকামের অনলাইন ভিত্তিক কিছু মার্কেটপ্লেস হলো- ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি।
প্যাসিভ ইনকাম– এটি এমন একটি ক্ষেত্র, যে ক্ষেত্রটি তৈরী করতে কিছুদিন সময় ব্যয় ও শ্রম দিতে হয়। কিছুদিন সময় ও শ্রম দিয়ে আপনি যদি ক্ষেত্রটি তৈরী করতে পারেন, তাহলে পরবর্তীতে আপনি কাজ না করলেও ইনকাম আসতে থাকবে। যেমন ধরুন- আপনি একটি বাড়ি বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন, এখন আপনার ইনকাম আসতেই থাকবে। বাড়ী কিন্তু প্রতিদিন আপনাকে বানাতে হবে না। এরকম কিছু অনলাইন ভিত্তিক প্যাসিভ ইনকামের ক্ষেত্র হলো- এফিলিয়েশন, ব্লগিং, গুগল এডসেন্স ইত্যাদি।
আমি মূলত অ্যামাজন ও গুগল এডসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছি। কারণ এটি বর্তমানে অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে বিশস্ত এবং ইউরোপের মার্কেটে সবচেয়ে বেশী শেয়ার ধরে রেখেছে। তাছাড়া এ প্লাটফর্ম থেকে ইনকাম করা আমাদের জন্য একটু সহজতর। এফিলিয়েশন মার্কেটপ্লেসগুলো প্রায় একই নিয়মে চলে।
এখন আসুন, আমার টাকার গাছ অর্থাৎ প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে বাস্তবিক একটি প্রমাণ দেখাই। যেটা আমি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। এখানে আমার শেষ 4 মাসের (জুলাই, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ২০২০। আরেকটি বিষয় সময় করে ২০২১ এর গত ৩ মাসের টি আপডেট দিয়ে দিব) ইনকাম এর স্ক্রিনশট দেওয়া হলো। ছোট বড় ৩টি আইডি হতে প্যাসিভ ইনকামের লাইভ দেখতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
প্রথমটি হলো জুলাই ২০২০ সময় দিন ০১.২২ মিনিট। এই মাসে আমার মোট ইনকাম হয়েছিল ১৫৩৪ ডলার
দ্বিতীয়টি হলো আগষ্ট ২০২০ সময় রাত ০১.১১ মিনিট। এই মাসে আমার মোট ইনকাম হয়েছিল ১০২৫ ডলার
তৃতীয়টি হলো সেপ্টেম্বর ২০২০ সময় দিন ০১.১৮ মিনিট। এই মাসে আমার মোট ইনকাম হয়েছিল ১৩৫১ ডলার
চতুর্থ টিহলো অক্টোবর ২০২০ সময় দিন ১১.২০ মিনিট। এই মাসে আমার মোট ইনকাম হয়েছিল ১২৯০ ডলার
তাহলে দেখা গেলা গত শেষ ৪ মাসে আমার মোট ইনকাম হয়েছিল প্রায় ৫২০০ ডলার। যা টাকা করলে দাঁড়ায় আনুমানিক ৫২০০ ডলার X ৮৩ টাকা = প্রায় ৪ লক্ষ ৩১হাজার ৬০০ টাকার মত। এখানে আমার একটি আইডির ইনকামের চিত্র দেওয়া হয়েছে। আমার আরও ছোট বড় মিলে মোট ৩ টি আইডি রয়েছে।
একটি গাছ রোপণ করতে চাইলে, যেমন প্রথমে একটি নির্দিষ্ট গাছের বীজ, যাচাই-বাছাই করে বোপন করতে হয়। তারপর বোপনকৃত সেই বীজ থেকে একটি চারা উৎপাদিত হয়। পরবর্তীতে সেই চারাটি একটি সুরক্ষিত বাগান অথবা কোন টবে লাগাতে হয়। তারপর গাছটি দ্রুত বেড়ে উঠার জন্য পরিচর্যা করতে হয়। যেমন- পানি, সার, আগাছা পরিস্কার, আলো-বাতাসের ব্যবস্থা, গরু-ছাগলের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হয়।
ঠিক একই নিয়মে অ্যামাজন এ্যাফিলিয়েট নিয়ে কাজ করতে হয়। অর্থাৎ অ্যামাজনের যে পণ্যটি নিয়ে আমি কাজ করবো সেটি পছন্দ করার পর তার উপর বেজ করে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং নেব। ডোমেইন অর্থাৎ চারা গাছের নাম এবং হোস্টিং হলো চারা গাছ রোপন করার বাগান বা টব।
ডোমেইন এবং হোস্টিং নেওয়ার পর গাছ পরিচর্যার মতো এখানে কনটেন্ট পাবলিশ, এস.ই.ও, কম্পিটিটর এ্যানালাইসিস ইত্যাদি প্রতিনিয়ত করতে হয়। এভাবে ৪-৬ মাস পরিচর্যার মাধ্যমে আপনার ইনকামের চারা গাছটি আস্তে আস্তে বেড়ে উঠবে এবং ফল দিতে শুরু করবে। যত দিন যাবে, পরিচর্যা বাড়বে, তত বেশী ফল আসতে থাকবে।
এমন একটি সময় আসবে, যখন আপনি চাইলে টাকার এই গাছটি, মোটা অংকের টাকায় বিক্রিও করতে পারবেন। সেটা হতে পারে ১০ লক্ষ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত। বিশ্বাস না হলে এই লিংকে ঘুরে আসতে পারেন।
চাকুরীজীবি (পুরুষ/মহিলা)। অনেক চাকুরীজীবি এমন আছেন যাদের চাকুরীর বেতন অনুযায়ী চাহিদা পূরণ হয় না। তারা এই কোর্সটি শিখে হ্যান্ডসাম একটি ইনকামের পথ তৈরী করতে পারেন।
ছাত্র/ছাত্রী। অনেক গরীব ছাত্র/ছাত্রীদের অভিভাবক তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হয়। আপনি চাইলে এই কোর্সটি শিখে, সে অনুযায়ী কাজ করে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারেন। এছাড়াও অন্যান্য ছাত্র/ছাত্রীরা লেখাপাড়ার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারেন। তবে ইনকাম করতে গিয়ে লেখাপড়ার যেন কোন ক্ষতি না হয়, বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে
বেকার। আমাদের দেশে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বেকাররা পরিবারে বোঝার মতো হয়ে যায়। সমাজে তাদের কোন মূল্যায়ন থাকে না। এই কোর্সটি শিখে, কোর্সের শেখানো প্রক্রিয়ায় কাজের মাধ্যমে খুব সহজে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।
গৃহিনী। অনেক শিক্ষিত গৃহিনী আছেন, যারা সাংসারিক কাজ শেষ করে অনেক সময় অবসর থাকেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এমন কিছু খুঁজছেন যে, সাংসারিক কাজ শেষ করে বাসায় বসে যদি কোন ইনকাম করা যেতো। হ্যাঁ তাদের জন্য এই কোর্সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা চাইলে কোর্সটি শিখে বাসায় বসেই ইনকাম করতে পারেন।
প্রতিটির মধ্যে আবার সংক্ষিপ্ত অনেক পার্ট রয়েছে
এটি মূলত একটি লাইভ কোর্স। জুম এর মাধ্যমে এই কোর্সটি শিখানো হবে। যার যার জায়গায় বসে, জুম এর মাধ্যমে সরাসরি কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কোর্সটি শেখানো হবে, প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি রাত ০৯:১০ টা থেকে রাত ১০:১০ পর্যন্ত। ইনশা-আল্লহ্ কোর্সের প্রথম ক্লাসটি শুরু হবে আগামী 17/06/2021ইং তারিখ, বৃহস্পতিবার রাত ৯:১০ মিনিট। কোর্সটিকে মোট ৩০টি ক্লাসে সাজানো হয়েছে (এর মধ্যে ২০ টি ক্লাশ এর পর থেকে অনেকেই লাইভ ইনকাম শুরু করে দিবে ইন-শা-আল্লহ্)।
শুরুতেই বলে রাখি আমি একজন মেন্টর হিসাবে আপনাকে আমার সকল অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এবং একটি ভালমানের আয় না হওয়া পর্যন্ত সহযোগীতা করে যাব ইন্-শা-আল্লহ।
আরেকটি কথা প্রাথমিক পর্যায়ে ১০টি ক্লাস শেষ হওয়ার পর যদি আপনি ইংরেজিতে দুর্বল হোন তাহলে কনটেন্ট এর পিছনে কিছু টাকা ইনভেস্টমেন্ট লাগতে পারে। আমার চেষ্টা থাকবে আপনি নিজেই যাহাতে নিজের কনটেন্ট লিখতে পারেন। দয়া করে এখানে কেউ ভুল বুঝবেন না। আমি আমার অন্তর থেকে সকলকে সহযোগীতা করার চেষ্টা করে থাকি। আমার পূর্বের সকল ব্যাচের ছাত্রদের মতামত পড়ে আমাকে মূল্যায়ন করতে পারেন।
আমাকে যেভাবে পেমেন্ট করতে হবে:-
১। কোর্সে জয়েন করার পূর্বে ১ম পরিশোধ = ৩০০০/= টাকা
২। সফলভাবে ১০টি ক্লাশ সমাপ্তের পরে ২য় পরিশোধ = ২০০০/= টাকা
আপনি ধরে নিতে পারেন সর্বসাকুল্যে ৭-৮ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। যদি আপনি স্বেচ্ছায় রাজী থাকেন তাহলে নিচের পদ্ধতিতে কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
Office-1: বি-১২, এফ-২২, ডাকঘর: মোহাম্মদপুর ১২০৭ (শের-ই-বাংলা নগর), ঢাকা।
Office-2: ১৫ বরুণ ভবন (৩য় তলা), গুলশান সার্কেল-২, ঢাকা ১২১২
FB: facebook.com/groups/passiveincome2021
ইউটিউব চ্যানেল: shorturl.at/iPV37
Web:http://passiveincome.com.bd/
Cell: 01307279400 / 01941878940
Email: passiveearningbd@gmail.com or admin@passiveincome.com.bd